কিছুদিন আগেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে চীনের সাংহাই নগরীতে। এবার এশিয়ার আরেক দেশ জাপানেও নতুন রেকর্ড গড়ল উষ্ণতা। ১২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ বসন্তকাল পার করেছে দেশটি। এই অবস্থার জন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের পাশাপাশি এল নিনোকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা।জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশটিতে তাপমাত্রা ছিল গড়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ১৮৯৮ সালে সংস্থাটি তাপমাত্রার হিসাব রাখা শুরুর পর থেকে জাপানে এটিই ছিল উষ্ণতম বসন্তকাল। এর আগে গত ২৯ মে সাংহাইয়ে তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শহরটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পুরোনো রেকর্ডের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে ওঠার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আরো নিয়মিত হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশটির আশপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৯৮২ সালের পর থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, তারা প্রায় নিশ্চিত যে, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল হবে এ যাবত্কালের সবচেয়ে উষ্ণ সময়কাল। এসবের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হচ্ছে এল নিনো পরিস্থিতিকে। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু-ইকুয়েডর উপকূল বরাবর কোনো কোনো বছর একরকম দক্ষিণমুখী উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ লক্ষ করা যায়। এটিকে এল নিনো বলা হয়ে থাকে। এর বিপরীত দশার নাম লা নিনা। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে শীতল সামুদ্রিক স্রোত তৈরি হয়।
সাধারণত চার থেকে ১০ বছর পরপর এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটি সৃষ্টি হলে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং কোনো কোনো এলাকায় খরাও দেখা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো সৃষ্টি হতে শুরু করবে।