চাহিদা কমায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি বলছে, বুধবারের তুলনায় আজ দিনের বেলা সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদা কম ছিল। এতে করে ৬৩৯ মেগাওয়াট লোশেডিংও কম হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৪০৭ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিল ২ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৬৭৭ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৭৪১ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির প্রধান কারণ তাপমাত্রা কমে আসা। বৃহস্পতিবার সারাদিনই বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কম থাকায় কুলিং লোড কম ছিল। এই কারণে বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার পিক আওয়ারে ৬৩৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং কম হয়েছে। কিন্তু ঘন্টাপতি উৎপাদনে খুব একটা হেরফের ছিল না। সারা দিনই আগের দিন বুধবারের মতোই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫ গ্রিডি সেলসিয়াস। অন্যকে গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার যা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ঢাকার তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রির ওপরে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় তিন ডিগ্রির মতো পরিবর্তন এসেছে।