পটুয়াখালীর দুমকীতে আগুনে পুড়ে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে শাশুড়ি পিয়ারা বেগম (৫২)-কে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে দুমকী সাতানি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
সে একই এলাকার জাফর মৃধার স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে অগ্নিদগ্ধ হালিমা আক্তার মীমের খালু থানায় অভিযোগ করেছেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুমকী নতুন বাজার এলাকায় শাহজাহান দারোগার (পুলিশ) ভাড়াটিয়া বাসায় দুর্বৃত্তরা হালিমা আক্তার মীমের হাত ও মুখ বেঁধে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মীম ও তার ৬ মাস বয়সী শিশু ওয়ালিফ হোসেন জিসান দগ্ধ হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় মীমের স্বামী ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠালে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় তার মৃত্যু হয়।
দুমকী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, ‘গতকাল ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমি ও সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) শাহেদ আহমেদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে ভিকটিমের খালু থানায় অভিযোগ করেছেন এবং মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
আমরা হাসপাতালে ভিকটিমের সাথে কথা বলেছি, তারই সূত্র ধরে শাশুড়িকে আটক করেছি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে আরো কিছু তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে চাচ্ছি না। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’