বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অনুমোদিত জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন “বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা”। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে শিশু-কিশোরদের মাঝে চির জাগরুক, উৎসবের দিনে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবন, ৩২ ধানমন্ডিতে আয়োজন করা হয়েছিল জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর ১৯৯৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি পদে আসেন মহিউদ্দিন মানু ও সাধারণ সম্পাদক হন মিয়া মনসফ। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মিলনে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু কিশোর মেলার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। এই সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতেই ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষে সারা দেশে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস, সহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। এর মধ্যে চিত্র অংকন, বিতর্ক, নৃত্য সহ শিশুদের মেধাবিকাশের জন্য নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। নেতৃত্বে ভুল বোঝাবুঝির জন্য দীর্ঘদিন এই সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার নেতৃবৃন্দদেরকে মিলেমিশে কাজ করার জন্য নির্দশনা প্রদান করেন। নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।গতকাল ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ঢাকার মতিঝিলের আজিজ ভবনে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিয়া মুনসেফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটনের ( একাংশ) সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিকদার মাহমুদুল আলম তারেক, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি নবেন্দু সাহা নব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ নূর কুতুবুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাধারণ সম্পাদক দীপরাজ মজুমদার,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ শরীফ, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত সবাই সংগঠনের কার্যক্রম দ্রুত আরম্ভ করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।