যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে দেশটির হাতে মানুষের তৈরি নয়, এমন অসংখ্য যান (এলিয়েন শিপ) রয়েছে, যা দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দ্য ডিব্রিফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড চার্লস গ্রুসচ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের ও কংগ্রেসের কাছ থেকে বেআইনিভাবে বিষয়গুলো গোপন রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।
কংগ্রেসে তার প্রতিবেদনে গ্রুসচ বলেছেন, তিনি কোনো শনাক্তকরণের বিষয়ে কথা বলছেন না, তিনি অক্ষত ও আংশিকভাবে অক্ষত বাহনের (এলিয়েন শিপ) কথা বলছেন।
দ্য ডিব্রিফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলিয়েন যানগুলোর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বিভিন্ন স্তরে চলমান রয়েছে। এর সঙ্গে যারা কাজ করছেন এ রকম নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক ও বর্তমান, তাদের পরিচয় জানেন তিনি। তবে তা প্রকাশ করেননি।
যদিও তার দাবিটি সেকেন্ড-হ্যান্ড তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। যেখানে একাধিক উৎস থেকে তিনি ঘটনাগুলো জেনেছেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন, এ-সংক্রান্ত নথি কংগ্রেসের হাতে তুলে দেওয়ায় তিনি সরকারি রোষানলের শিকারও হয়েছেন। ফলে চলতি বছরের এপ্রিলেই তাকে সরকারি পদ ছাড়তে হয়েছে।
দ্য ডিব্রিফের প্রতিবেদন বলছে, ‘তিনি জানিয়েছেন যে ব্যক্তিগতভাবে ভিনগ্রহের যানবাহন দেখেননি, এমনকি কোথায় তা সংরক্ষণ করা হয়েছে, তাও তিনি বলেননি।’
গ্রুসচ ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত ইউএস আন-আইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) টাস্কফোর্সে ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিসের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউএপি বিশ্লেষণ বিষয়ক নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে তিনি কাজ করেছেন ন্যাশনাল জিওস্পেশাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে।
সাবেক এই অফিসার ব্যাখ্যা করেছিলেন যে যানগুলো বিধ্বস্ত হওয়া সাইটগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তার উপকরণগুলো বহিরাগত উৎসের। সেখানে অনন্য পারমাণবিক ব্যবস্থা ও রেডিওলজিক্যাল স্বাক্ষরও রয়েছে, যেগুলো পৃথিবীর কোনো প্রযুক্তির সঙ্গে মিল নেই। তিনি দাবি করেছেন, প্রতিযোগী শক্তিগুলো থেকে এগিয়ে থাকতে এই প্রযুক্তিগুলো রি-ইঞ্জিনিয়ারিংও করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র স্যু গফ এই প্রতিবেদনের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বহির্জাগতিক যানের অস্তিত্বের যাচাইযোগ্য এমন কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। অতীতেও এলিয়েনশিপ রি-ইঞ্জিনিয়ার্ডসংক্রান্ত কোনো প্রোগ্রাম চালু ছিল না, এখনও নেই।’
এদিকে দ্য ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে বর্তমানে কাজ করছেন জনাথন গ্রে, চার্লস গ্রুসচের সমর্থনে তিনি বলেছেন, ‘মানবতার বাইরে বুদ্ধিমত্তার ঘটনার নজির এটিই প্রথম। আমরা একা নই। এমনকি এই ধরনের পুনরুদ্ধার শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ নেই, এটি একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা, অথচ এর বৈশ্বিক সমাধান এড়িয়ে চলা হচ্ছে।’