বহুলপ্রত্যাশিত কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি লক্ষনীয়।
এ নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত) মাসেদুল হক ওরফে রাশেদের মধ্যে। নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দলীয় মেয়র প্রার্থী নেই।মাঠে থাকা পাঁচ প্রার্থীর মধে অপর তিন মেয়র প্রার্থী হলেন- জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট প্রতীক), জোসনা হক (মোবাইল ফোন প্রতীক) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা প্রতীক)। জোসনা হক নারিকেল প্রতীক মাসেদুল হক রাশেদের স্ত্রী এবং তিনি শুরু থেকে স্বামী নারিকেল গাছের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্বে থাকবে ১৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র্যাব টিম ও ৭৯০ জন পুলিশ। ৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন,‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করে আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠিয়েছি। যেহেতু ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে তাই প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের বলা আছে নির্বাচন শেষ হলে কেন্দ্রেই যেন ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিগত দিনেও কক্সবাজারে ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবারও একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো বলে মনে করি।
প্রসঙ্গত, পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯৫ হাজার ৩৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫০ হাজার ১৮৪ জন ও নারী ভোটার ৪৫ হাজার ২০২ জন।