তিন মাস পর আখাউড়া দিয়ে এলো ১০ টন পেঁয়াজ

0
85

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাস পর ফের আমদানি শুরু হলো। সোমবার বিকেলে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। পেঁয়াজবাহী ট্রাক বর্তমানে স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে রয়েছে। আনুষঙ্গিক কাজ শেষে মঙ্গলবার পেঁয়াজ খালাস করা হতে পারে।

প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ২৫০ মার্কিন ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানিকাক হলে সজীব ঘোষ। আমদানিকারক বিডিএস করপোরেশন। এর সিঅ্যান্ডএফ করছেন আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গত ৫ জুন থেকে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি ট্রাকে করে ১০ টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে। পরে আরো পেঁয়াজ আনা হবে, যা প্রক্রিয়াধীন।

আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এর আগে গত বছর পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। তবে এখন নতুন করে কয়টি প্রতিষ্ঠান আমদানির জন্য এলসি খুলেছে সেটি জানা নেই।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বিডিএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে একটি ট্রাকে করে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। ধাপে ধাপে এলসির বাকি পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছবে।

আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাসুল পাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে পেঁয়াজ আমদানির মধ্য দিয়ে প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ থাকা আখাউড়া স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি বাণিজ্য আবারও সচল হতে চলল। সর্বশেষ গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৩৮ টন ভাঙা পাথর আমদানি হয়েছিল বন্দর দিয়ে।

মূলত একটি সিন্ডিকেটের কারণে এ বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে আগ্রহী নয়। ওই সিন্ডিকেটের সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স ব্যবহার, বাধ্যতামূলকভাবে বেশি ভাড়ায় তাদের অধীনে থাকা ট্রাক ব্যবহার করে পণ্য নিতে হয় বলে ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here