মাদ্রাসায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ

0
93

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৮ বছরের কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নের চর নিমতলা উত্তর পাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীর মা, সেই অভিযোগের বিষয়টি চাপা দিতে তড়িঘড়ি করে আপোষ মীমাংসায় বাধ্য করা হয় শিশুটির মাকে। 

 
জানা গেছে, গত ৩১ মে বুধবার সিরাজদিখান উপজেলার চর নিমতলা উত্তর পাড়া নিমতলা  নূরানী কিন্ডারগার্ডেন ও মহিলা মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস করার উদ্দেশ্যে সকাল ৯ টার দিকে মাদ্রাসা যায় শিশুটি। পরে সেখানে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহ আলম মোল্লা ৮ বছরে ওই শিশু ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালান। পরে শিশুটি তার বাড়িতে ফিরে গিয়ে তার মাকে ঘটনা বিবরণ জানান। পরে শিশুটির মা বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বার ঘুরে বিচার না পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে বাদীকে ভয় দেখিয়ে আপোষ মীমাংসা করে ফেলেন। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির চাচা জানান, পার্শ্ববর্তী বালুচর ইউনিয়নের মনা সরকার, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে স্থানীয় আনসার আহম্মেদ ও আব্দুল লতিফের ছেলে সালাউদ্দিন মাদবরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আপোস মীমাংসা করার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। তবে এমন ঘটনার স্থানীয় ভাবে আপোস মীমাংসা  করতে পারে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম মোল্লা বলেন  বিষয়টি আমাদের উভয়ের মাঝে আপোষ মিমাংসা হয়েছে আপনারা এবিষয়ে কোনও নিউজ কইরেন না।

লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হক জানান, নির্যাতিত শিশুর মাসহ ১০/১২ জন লোক আমার অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ করেছে যে শিশুটি যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহআলম মোল্লা। বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তাদের বিজ্ঞ আদালতের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here