সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জামালপুরের বকশীগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার পশ্চিম বাজার (গরুহাটি) নাদিমের বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার নাদিমের মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উঠানে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের মরদেহ রাখা হয়েছে। সেই মরদেহকে ঘিরে স্বজনদের আহাজারি চলছে। দোষীদের বিচার দাবি করে কাঁদছেন নাদিমের মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তান।
নাদিমের মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার সোনামানিক নাদিম। আমার নাড়িছেঁড়া ধন। আমার পোলাডা কথা কয় না ক্যা! আমার বাবাডারে আইনা দেও কেউ। আমার পোলাডারে ওই বাবু চেয়ারম্যান মাইরা ফালাইছে। বাবু চেয়ারম্যানের ফাঁসি চাইগো।’
নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু সম্প্রতি নাদিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলা বুধবার খারিজ হওয়ার পর চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ক্ষিপ্ত হন এবং লোকজন দিয়ে নাদিমের ওপর হামলা করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা মুঠোফোনে বসুন্ধরা নিউজকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে ১৪ জুন (বুধবার) রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় বকশীগঞ্জের পাথাটিয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ময়মনসিংসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।