উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে পয়েন্টে ৬ সেমি পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৮ সে.মি নীচ প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার বলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবার পাশাপাশি জেলার চৌহালীর এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
গত দু দিনে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাঁচিল গ্রামে অন্তত ২০টি বসতবাড়িসহ অর্ধশত গাছপালা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এসব বাড়ি-ঘরের অসহায় মানুষজন অন্যত্র আশ্রয় নিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে ভাঙ্গন শঙ্কায় ঘর-বাড়ি ও আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় স্বচ্ছল কৃষকেরা সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছে।
পাঁচিল গ্রামের মির্জা সরকার আব্দুল আলীম জানান, দুই দিন আগেও আমাদের বাড়িঘর সব ছিল। আজ নদীতে সব হারিয়ে পথে বসেছি। নদী গর্ভে ঘর-বাড়ি বিলিন হওয়ায় কোথাও যাওয়ার মত অবস্থা নেই তাদের। মাথা গোজার ঠাই হারিয়ে এখন ভাসমান মানুষে পরিণত হয়েছি। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে দ্রুত ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে জিওব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।