মহড়ার উত্তেজনা: আরো চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

0
321

টানা ছয়দিনের সামরিক মহড়া সমাপ্ত করেছে সিউল ও ওয়াশিংটন। আর মহড়ার শেষ দিনেই কিনা আবার চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো উত্তর কোরিয়া।
টানা উত্তেজনার মাঝে শনিবার সকালে কোরীয় দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করেছে পিয়ংইয়ং।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার সিউল-ওয়াশিংটনের মহড়া শেষের দিনে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৫৯ মিনিটের মাঝে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।

সিউল জানায়, নিক্ষেপের স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে। গত সপ্তাহে সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। যার মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। যদিও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে ২০১৭ সালের পর দেশটি আবার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

গত সোমবার কোরীয় দ্বীপে এযাবৎকালের বৃহত্তম যৌথ আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামের এ মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান প্রতীকী লক্ষ্যে টানা ২৪ ঘণ্টা আক্রমণ চালায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের মতে, সিউল-ওয়াশিংটনের চালানো মহড়ায় প্রায় ২৪০টি সামরিক বিমান, দু’টি মার্কিন বি-ওয়ানবি বোমারু বিমানের পাশাপাশি, চারটি এফ-১৬ এবং চারটি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল।

সিউল ও ওয়াশিংটনের জয়েন্ট চিফের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের পর দুই দেশের যৌথ মহড়ায় এবারই প্রথমবারের মতো বি-ওয়ানবি বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার যেকোনও ধরনের উসকানির কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, দৃঢ় সংকল্প ও অভিপ্রায় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয় বলে জানা যায়।

এর আগে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘উসকানিমূলক’ বিমান মহড়া বন্ধের দাবি জানায় পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, শুক্রবার দুই দেশের সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার ১৮০টি সামরিক ফ্লাইটের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিমানগুলো উড়ানো হয়েছিল।

গত বুধবার একদিনে রেকর্ড ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল পিয়ংইয়ং। যার একটি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের কাছে পড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিত্র ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না হলে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, উসকানি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তার পাল্টায় দীর্ঘস্থায়ী জবাব দেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here