কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গরু চুরির সালিশে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।আহতদের মধ্যে চরসাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ৩৫), কালু ড্রাইভার (৫০), হেলাল উদ্দিন (৪০), সুফি মন্ডল (৩৭), মাসুম (২৬), মনসুর (২৯), মিঠুনকে (২৯) পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে সালিশে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শতশত আমজনতা চরসাদিপুরের চেয়ারম্যানসহ ৮ থেকে ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল হোসেন বলেন, ঈদের আগে পাবনা সদর এলাকার ঘাটপাড়ায় গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে দু’পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বসায় চেয়ারম্যান। সালিশে পাবনার লোকজন গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে পরিষদে ঘেরাও করে রেখেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী বলেন, গরু চুরির সালিশ চলছিল তার পরিষদে। হঠাৎ মারামারি শুরু হয়। কয়েকজনকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে জনগণ পরিষদে অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি সার্বিক পরিস্থিতি মুঠোফোনে পুলিশকে জানিয়েছেন।