ঢাবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ

0
70

আবাসিক হলে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রুপাকে মারধর ও টেনেহিঁচড়ে কক্ষছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়।

রোববার (২৩ জুলাই) মধ্যরাতে রোকেয়া হলের ৭ মার্চ ভবনের ১১২১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রুপাকে চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোকেয়া হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী রুপা ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী এবং হল ক্যান্ডিডেট। অন্যদিকে আতিকা বিনতে হোসেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য, হলে একক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। আতিকা বিনতে হোসেনের নির্দেশে এ হামলা চালোনা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিহা মাহুব ঐশী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপর্ণা রায় এবং ছাত্রলীগ নেত্রী ফারজানা পারভীন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা রুপা বলেন, ‘আমি রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সহসভাপতি এবং আগামী কমিটির ক্যান্ডিডেটও। আতিকা আপুর ৮ থেকে ১০ জন মেয়ে আমার জিনিসপত্র রুমের বাইরে ফেলে দিয়েছে। রাত সাড়ে দশটা থেকে অবস্থান করছে। তারা অমানুষের মতো আমাকে রুম থেকে টেনেহিচড়ে বের করে দিয়েছে। আমি প্রচণ্ডভাবে ইনসিকিউরড ফিল (নিরাপত্তাহীনতা অনুভব) করছি।’

তবে এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। আমি এখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। হলের বিষয়গুলো দেখার সময় সুযোগ কোনোটাই আমার নেই। বিষয়টি শোনার পর আমি প্রভোস্ট ম্যামকে ফোন দিয়েছি। ওনারা আসছে। তারা সমাধান করবে।’

এদিকে রুপাকে অমানবিকভাবে মারধর ও মারধরের পর ডাক্তারের কাছে যেতে বাধার অভিযোগ করেছে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। মেয়েটিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমার কাছে কিছু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। অনেক রাত পর্যন্ত হলের সামনে আমি ও ইনান ভাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হল প্রাধ্যক্ষ তার চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। একজন শিক্ষার্থী তার চিকিৎসার অধিকার পাইনি। আমি হল প্রাধ্যক্ষকে অনেকবার ফোন দিয়েছি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ছাড়া রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here