কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়ে ঠিকঠাক মেকআপ করলেন। লিপস্টিক, আইশ্যাডো এমনকি বেস মেকআপটাও দিয়েছেন ঠিকমতো। কিন্তু মনে হচ্ছে কীসের যেন কমতি। আজ্ঞে হ্যাঁ; চোখের নিচের দাগ ও ব্রণের দাগ এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সমাধানে ব্যবহার করুন কনসিলার। দেখতে ফাউন্ডেশনের মতোই কিন্তু একটু ঘন ও ভারী। তবে ব্যবহারের আগে অবশ্যই সঠিক কনসিলারটি বেছে নিন।
কত রকম কনসিলারমূলত কনসিলারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি রঙের অসামঞ্জস্যতা ঢাকার জন্য, যাকে বলা হয় কালার কারেকটিং কনসিলার, অন্যটি দাগ ঢাকার জন্য ভারী কভারেজ দেয় এমন কনসিলার। মূলত পেশাদার রূপ বিশেষজ্ঞরাই কালার কারেকটিং কনসিলার ব্যবহার করে থাকেন। ত্বকের ছোট বড় খুঁত ঢাকতে ব্যবহার করা হয় ভারী কভারেজ কনসিলার। কনসিলার সাধারণত তরল, ক্রিম বা স্টিক আকারে বাজারে পাওয়া যায়। চোখের নিচের কালো দাগ, ব্রণ ইত্যাদি সহজেই ঢেকে ফেলা যায় এর সাহায্যে। তবে ব্যবহারের আগে সঠিক কনসিলারটি বেছে নিতে হবে।
ধরন বুঝে বাছাই
ত্বকের ধরন বুঝে বেছে নিতে হবে আপনার মেকআপ কনসিলার। সব ধরনের ত্বকে ম্যাট ফিনিশ কনসিলার আদর্শ। এ কনসিলার ব্রণের মতো জেদি দাগও ঢেকে ফেলতে পারে। এ ধরনের কনসিলারগুলো নানা শেডের হয়ে থাকে। তবে তেলতেলে ত্বকে, সেনসিটিভ ত্বকে ওয়াটার বেসড কনসিলার আদর্শ। এ ধরনের ত্বকে ন্যাচারাল লুক আনতে দুটি কনসিলার ব্যবহার করতে হবে।
কীভাবে বেছে নেবেন
কেনার সময় নিজের ত্বকের ধরন বুঝে কনসিলার কিনুন। আপনার স্কিন টোনের কাছাকাছি শেডের কনসিলার কিনবেন। স্টিক, ক্রিম ও টিউব আকারে কনসিলার পাওয়া যায়। কনসিলার কেনার আগে টেস্ট করার জন্য হাতের কবজি ব্যবহার করুন। কনসিলার লাগানোর পর দাগ মুছে গিয়ে মিলিয়ে গেলে বুঝবেন এটি আপনার জন্য উপযোগী।
ব্যবহারের কায়দা-কানুন
অনেকেই কনসিলার ব্যবহার রপ্ত করতে পারেন না। আসলে কনসিলার ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। হাতের অনামিকা আঙুলের ডগায় সামান্য কনসিলার নিয়ে হালকা হাতে দাগের ওপর লাগিয়ে নিন। যদি আপনার কনসিলার লাগানোর অভ্যাস না থাকে তবে কটনবারের মুখে সামান্য কনসিলার নিয়ে দাগের ওপর লাগান, এতে আঙুলের ছাপ পড়বে না। ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থাকলে কনসিলার লাগানোর পর সামান্য আই ক্রিম লাগাতে পারেন। তারপর ত্বকের যে অংশে দাগ আছে সেখানে কনসিলার লাগিয়ে ব্লেন্ড করুন।
লেখা : উম্মে হানি