ভোলার বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম, দামও চড়া

0
75

ভোলা: ভোলার বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম অনেকটা চড়া। গত কয়েকদিন আগে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও বর্তমানে জেলেরা মাছ পাচ্ছেন না।আর তাই বাজারে সরবরাহ কমেছে, বেড়েছে ইলিশের দাম।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে ভোলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ইলিশ, চিংড়ি, কাতল, রুই, পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে বাজারে মাছের সরবরাহ কম ছিল এবং সেই সঙ্গে ক্রেতাদের সমাগমও তেমন ছিল না।

মাছ বিক্রেতারা জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। তবে হালি বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা দরে। চিংড়ির কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতাল ৫০০ থেকে প্রকার ভেদে ৮০০ টাকা এবং অন্য মাছ প্রকার ভেদে গড়ে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, নদীতে এখন ইলিশ কম। তাই আমাদেরও বেশি দামে কিনে বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, বাজারের মাছের দাম অনেক বেশি। কিছুদিন আগেও দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে ছিল।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, ভোলাতে বাৎসরিক মাছের চাহিদা হচ্ছে ৩৯ হাজার টন। আর এর চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে নদ-নদীতে ইলিশের দেখা মিলবে। তখন দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে পারে।

এদিকে শুধু মাছ নয়, বেড়েছে মুরগী, খাসি ও গরুর মাংসের দাম। এছাড়াও হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগির ডিম ১৬০ টাকা এবং দেশী মুরগির ডিম হালি প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। বাজারে পর্যাপ্ত ডিমের সরবরাহ থাকলেও বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছে মতো দামে এসব নিত্য পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

তবে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত মনিটরিং করার দাবি জানান ক্রেতারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here