ইন্টার মায়ামিতে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। খাদের কিনারায় থাকা দলটির হয়ে একের পর এক গোল করে জেতালেন শিরোপা।তার এমন খেলা দেখতেই তো রেকর্ড পরিমান টিকিটমূল্যে স্টেডিয়ামে আসেন দর্শকরা। তবে আসন কম থাকার কারণে অনেকেই মায়ামির হোম গ্রাউন্ডে আর প্রবেশ করতে পারেন না। তাইতো নতুন স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করছে ক্লাবটি।
বর্তমানে আমেরিকান সকার ক্লাবটির হোম গ্রাউন্ড ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২১ হাজার। যেটি বাড়িয়ে নতুন স্টেডিয়ামের জন্য ২৫ হাজারে বৃদ্ধি করবে ক্লাবটি। মিয়ামি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের খুব কাছেই নতুন এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এই স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই নিয়েছিল ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটি। তবে এটি বাস্তবায়ন হবে এই বছর থেকে।
২০২৫ সালে সম্পন্ন হবে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ। এদিকে একই বছর মায়ামির সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে মেসির। তবে আর্জেন্টাইন এই তারকা চুক্তি বাড়াতে পারবেন আরও এক বছর। যেহেতু তাকে ঘিরেই সকল পরিকল্পনা করছে মায়ামি, তাই ধারণা করা হচ্ছে চুক্তি বাড়াবেন তিনি। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন ম্যানেজিং মালিক জর্জ মাস।
তিনি বলেন, ‘মায়ামির জন্য নতুন কিছু নির্মাণের জন্য সবকিছু প্রস্তুত। মাত্র চার বছরের মধ্যেই আমরা বিশ্বের কাছে আমেরিকান সকারের ধারণা পাল্টে দিয়েছি। একইভাবে আমরা মায়ামি ফ্রিডম পার্ক নির্মাণ করছি। যেটি নানাবিধ সুবিধা সম্বলিত একটি স্টেডিয়াম হবে, যা স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলোর একটি উদাহরণ হিসেবে তৈরি হবে। যেখানে খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও নানা বিনোদনের সঙ্গে পরিবারসহ খেলা উপভোগ করার সুযোগ থাকবে। ২০২৫ সালের সেই মুহূর্ত দেখার জন্য আমার তর সইছে না, যখন সমর্থকরা নতুন স্টেডিয়ামে মেসি ও মায়ামি ফুটবলারদের নিয়ে উল্লাস করতে থাকবে। ’
৫৮ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হবে মায়ামির এই নতুন স্টেডিয়াম। যেখানে পার্কের পাশাপাশি থাকবে তরুণদের জন্য খেলাধুলা ও সকারের সুবিধা। যা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারবে। এখানে থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থাসহ ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা। যেখানে অফিস, হোটেল, দোকান ও রেস্টুনেস্টও নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে নির্মাণশ্রমিকরা কাজও শুরু করে দিয়েছে।