র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ ডাকাতির বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ছনটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডিবি পরিচয় প্রদান করে প্রতারণাকারী চক্রের ০৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম মোঃ রবিউল হাসান (২৮), মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ রানা (৩৪), মোসাঃ জেসমিন বেগম (৩০), পুতুল (২৮) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০১টি ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ০১টি ওয়াকিটকি সেট, ০১টি হাতুড়ি, ০১টি লাঠি, ০১টি প্লাস, ০১টি মাল্টিপ্লাগ ও ০৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত বুধবার প্রতারক জেসমিন রিনা মোঃ ছালাম সিকদার (৬০) নামক এক ব্যক্তিকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে পূর্বপরিকল্পিভাবে তাদের সুবিধাজনক স্থান রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ছনটেক এলাকার একটি বাড়ীতে নিয়ে যায়। অতঃপর তাদের দলনেতা রানা’কে খবর দেয়। পরবর্তীতে রানা তার দলবল নিয়ে ডিবি পুলিশ সেঁজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ছালাম’কে মারধর ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ভিকটিম’কে গ্রেফতার ও মামলার ভয় দেখিয়ে তার নিকট ৫০,০০০/- টাকা দাবি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও উক্ত ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় প্রদানকারী প্রতারক চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।