আনুষ্ঠানিক অনুমতি না পেলেও রাজধানীর আরামবাগ মোড়ে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত ইসলামী।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তিনটি পিকআপের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করছে দলটির নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, আরামবাগ মোড়ে জামায়াতের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তারা এখানেই সমাবেশ করতে চাচ্ছেন। আমরা ওভাবে তাদের অনুমতি দিতে পারি না। তবে তারা এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন।
এর আগে, এদিন সকাল ৯টার দিকে জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী শাপলা চত্বরের দক্ষিণ পাশে জড়ো হন। এ সময় পুলিশ লাঠি সার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আরামবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে জামায়েত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এস এম মোবারক হোসেন জানান, পুলিশ আমাদের জায়গা পরিবর্তন করতে বলেছে, একইসঙ্গে বিশৃঙ্খলা না করতে বলেছে। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছি না। আমরা সমাবেশ করব এটা তাদের জানিয়েছি।
এদিকে, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান শনিবার সকালে জানান, জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা সমাবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর একই দিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী। একই দিনে তিন দলের সমাবেশ ঘিরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে, সংবিধানে যেকোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির আড়ালে কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।