ইসরায়েল–হামাস সংঘাত থামাতে হলে ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের জন্যও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রয়োজন। বুধবার এমনটাই বললেন পোপ ফ্রান্সিস। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত করতে জেরুজালেমকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইতালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরএআইস টিজি১ নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পোপ ফ্রান্সিস এসব কথা বলেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ইসরায়েল হামাসের হামলায় বেসামরিক নিহত ও ২৩০ জিম্মির পরও এই সংঘাত আঞ্চলিক সংঘাতে রুপ নাও নিতে পারে।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ওই দুই জনগণকে (ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি) এক সঙ্গে থাকতে হবে। সেই হিসেবে ভালো সমাধানের উপায় হচ্ছে, দুটি রাষ্ট্র গঠন করা। অসলো চুক্তি, দুটি সুসংজ্ঞায়িত রাষ্ট্র ও জেরুজালেমের জন্য একটি বিশেষ মর্যাদা।
১৯৯৩ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসির আরাফাত সীমিত পরিসরে ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অসলো চুক্তিতে সম্মত হন।
এরপর ২০০০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও ইয়াসির আরাফাত ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন তারা।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। ১৯৮০ সালে সমগ্র শহরটি ইসরায়েলের ‘একক ও চিরন্তন রাজধানী’ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে ফিলিস্তিনিরা ঐতিহাসিক এই শহরের পূর্ব অংশকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে থাকে।
ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর ৫ হাজারের বেশি রকেট হামলা করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে লাগাতার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি।