চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিজয় স্মরণীর দিকে যেতে গেলে চোখের সামনে ধরা দেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’। মাথার ওপরে খোলা আকাশ, দাঁড়িয়ে যেন দেখছেন তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করা দেশটি কীভাবে এগিয়ে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তার এক হাত পকেটে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এই ভাস্কর্য উন্মুক্ত করেন। সঙ্গে ছিল স্কুল-কলেজের এক ঝাঁক কিশোর-কিশোরী।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু ভাস্কর্য নয়, ইতিহাস। দেশকে জানার ইতিহাস।
মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের ছাত্র ছিলেন। সেই আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমান, জাতীয় চার নেতা, দুই লাখ মা-বোনকে শ্রদ্ধা জানান।
শিশুরা রোদে কষ্ট পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে বলেন, আজকের ছোট শিশুরা হবে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। আমরা তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। এখন ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যেতে পারে। তারা যেন এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য নানা সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি বৃত্তি দিচ্ছি, যেন কেউ বাদ না যায়। শিক্ষাই জীবনের সবচে বড় সম্পদ। সেটা চোর ডাকাত নিতে পারবে না। আর সেটা সঙ্গে থাকলে শিশুরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা করেন তিনি।