যশোরের মনিরামপুরে ইমা খাতুন (১৭) নামে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনিরামপুর হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
আত্মহত্যার শিকার ছাত্রী মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তার মা রূপা খাতুন মনিরামপুর হাসপাতালের বাবুর্চি।
চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে তিনি হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকছেন।
মনিরামপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইমার বাবা আমিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাবন্দি। তার মা রূপা দুই বছর আগে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর এলাকার টুলু নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। বর্তমান স্বামীকে নিয়ে রূপা হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকছেন।
মনিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আলেক উদ্দিন বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ইমা যশোর শহরে মামা বাড়িতে বড় হয়। চার থেকে পাঁচ মাস আগে সে মনিরামপুরে এসে কলেজে ভর্তি হয়ে মা ও সৎ বাবার সঙ্গে হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকছিলেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার আলেক উদ্দিন বলেন, শুনেছি আগে থেকে মা ও সৎ বাবা ইমাকে নির্যাতন করত। সোমবার সকালে তারা দুজনে মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন।
এরপর তারা মেয়েকে রেখে বাইরে যান। বিকেলে তারা কোয়ার্টারে ফিরে ইমাকে ডাকাডাকি করেন। পরে ঘরে ঢুকে দেখেন ইমা নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে।
তিনি আরো বলেন, ইমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মায়ের ওপর অভিমান করে কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।আমরা লাশ উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।