আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর)। তফসিল ঘোষণার পরই স্বাগত জানিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে মিছিল করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতাদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তফসিল নিয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তফসিল কবে হবে, সে বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি ।
ইসি সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল পাঁচটায় কমিশনের বৈঠকের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর নির্বাচন হতে পারে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণা হতে পারে ধারণা পেয়ে দলের সব স্তরে দায়িত্বশীল নেতাদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। তাদের বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পরপরই এটিকে স্বাগত জানিয়ে সারা দেশে বড় মিছিল করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকেরাও নিজ নিজ বিভাগের নেতাদের ফোন করে মিছিলের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তৃণমূলের নেতাদের এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে, তফসিল ঘোষণা হলেই যেন মিছিল করা যায়, তার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে বসেন। এ সময় সিদ্ধান্ত হয় যে শুধু মহানগর ও জেলা নয়, উপজেলা–থানা পর্যায়েও মিছিল করা হবে। মিছিলের স্লোগান থাকবে নৌকা। এর মাধ্যমে নির্বাচনের আবহ নিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি থাকতে পারে। ফলে তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ যে মিছিল করবে, সেটি নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ বিরোধী দলগুলোর নানা কর্মসূচির সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তফসিলের পরই রাজপথে শক্তি দেখাবে আওয়ামী লীগ। এর ফলে একদিকে মানুষের মধ্যে নির্বাচনের বার্তা যাবে। অন্যদিকে বিরোধী দল বের হওয়ার সাহস পাবে না। তফসিল ঘোষণার পর মিছিল করার পেছনে মূল লক্ষ্য বিরোধী দল যাতে তফসিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাজপথে না নামতে পারে।