নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসির ২৬তম সভায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটে কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকবেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা শেষে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিং করেন জাহাংগীর আলম। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, আজ থেকে ৫২ দিন পর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা প্রচারণার সময় পাবেন ১৯ দিন। তফসিল অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে যারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তাদের জন্য দায়িত্ব পালন করতে ইসি পিছপা হবে না। প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালাতে ইসি সবার জন্য সমান অবস্থা তৈরিতে কাজ করবে। যখন যে ধাপে যে কাজ করা প্রয়োজন হবে ইসি তা করবে।
এর আগে সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই ভাষণ বিটিভি ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ এ বছরের ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি চলবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপরই শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা, যা চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ। আর ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন।
তফসিল ঘোষণায় দেয়া বক্তব্যে সিইসি সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকার বিষয়টিও এ সময় উল্লেখ করেন।