শুরু হয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া সপ্তম দফার এই অবরোধ চলবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ অবরোধের ডাক দেন।
রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে আগের চেয়ে গণপরিবহন বেড়েছে। বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল আগের হরতাল-অবরোধ থেকে বেড়েছে।
বিএনপি জানিয়েছে, সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ওষুধ পরিবহন অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার পরদিন থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তাদের এ কর্মসূচি।
বিএনপির এই ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
বিএনপি এরই মধ্যে এই তফসিল প্রত্যাখান করেছে। তাদের দাবি, এই সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না।
মহাসমাবেশে বাধা ও নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। পরে ৩১ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে প্রথম দফায় সারা দেশে তিনদিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু করে। পরে ২ নভেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেয়।
পরে ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয় বিএনপির তৃতীয় দফার অবরোধ। চলে ১০ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত। চতুর্থ দফার অবরোধ শুরু হয় ১২ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে, যা শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। পরে ১৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
এরপর নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি শেষ হয় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। পরে ২২ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ষষ্ঠ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করে দলটি, শেষ হয় ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) ভোর ৬টায় শেষ হয় এ অবরোধ কর্মসূচি।