সমালোচনার মুখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং কলাতলী ও সুগন্ধা বিচের মাঝখানের এলাকাকে ‘মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে নামকরণের প্রস্তাবের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিচের নাম পরিবর্তনের নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর আগে গত রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নামকরণের নির্দেশনা বাতিল করা হয়। অথচ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তারই স্বাক্ষরে নাম পরিবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো চিঠিতে দুই সৈকতের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম সভায় বিচ দুটির নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছিল।
‘সুগন্ধা বিচ’কে বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশনার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। জাতির পিতার সম্মানে ক্ষুদ্র এই পয়েন্টের নামকরণ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম নেয়।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পূর্বে পাঠানো (১৯ ফেব্রুয়ারি) নির্দেশনার ওপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে পূর্বে পাঠানো পত্রটি বাতিল হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।’
কোন সিদ্ধান্তের আলোকে আপনারা নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়েছিল, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সুগন্ধা বিচের নাম বঙ্গবন্ধু বিচ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। ওই চিঠির আলোকে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। পরে মন্ত্রণালয়ের আরেক চিঠিতে এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা সেখান থেকে সরে এসেছি।’