ঢাকাই সিনেমা মাতিয়ে রেখেছেন শাকিব খান। গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে এই সুপারস্টারের ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি। ‘রাজকুমার’র জয়ধ্বনির মাঝেই নতুন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ঠিক এমন সময়ই খবর এলো- সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানজনক গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান। আজ শনিবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা-প্রযোজক অনন্য মামুন।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে আরব আমিরাতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেয়েছেন শাকিব। এখন কেবল সেটা রিসিভ করে আনা বাকি।
অনন্য মামুনের কথায়, ‘এত দিন শাকিব ভাই ট্যুরিস্ট ভিসায় আমিরাতে যেতেন। তবে আগামীতে তিনি গোল্ডেন ভিসায় যাবেন। রিকমেন্ডেশন চলে এসেছে। এখন শুধু রিসিভ করা বাকি। এটা সত্যিই একটা বড় ব্যাপার। ভারতীয় সিনেমার বড় তারকারা এই ভিসা পেয়েছেন। অথচ আমি যখন আমিরাতের মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম, তারা এটাও জানে না যে, আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আছে! যাক, শেষ পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করে তারা শাকিব ভাইকে গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে; এটাই আনন্দের।’
বলা দরকার, ব্যবসা ও এ ক্যাটাগরি চাকরি ছাড়া কেবল সংস্কৃতি অঙ্গনের মেধাবী তারকাদের বিনামূল্যে গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়। দীর্ঘ মেয়াদী এই ভিসার মাধ্যমে আমিরাতে গিয়ে থাকা, ভ্রমণ, কাজ এমনকি পড়াশোনাও করা যায়। বলিউডের শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ অনেক তারকা গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। তবে বাংলাদেশি হিসেবে শাকিব খানই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে এমন সুযোগ পাচ্ছেন।
শাকিবকে নিয়ে ‘দরদ’ নামে নতুন একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন অনন্য মামুন। গেল ২৮ মার্চ নায়কের জন্মদিনে দুবাইয়ে এর ব্যতিক্রম প্রচারণাও চালিয়েছিলেন তিনি। আগামীতে আরও চমক অপেক্ষা করছে বলেও জানালেন মামুন। তবে সিনেমাটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে, সেটি এখনও খোলাসা করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ‘দরদ’কে বলা হচ্ছে প্যান-ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি সিনেমা। এতে শাকিবের নায়িকা বলিউডের সোনাল চৌহান। আরও আছেন কলকাতার পায়েল সরকার, রাজেশ শর্মা, রাহুল দেবসহ অনেকে। সিনেমাটি বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালায়লাম ভাষায় মুক্তি পাবে।