আগামী বুধবার থেকে রাজশাহীতে শুরু হচ্ছে পাকা আম পাড়ার উৎসব। ওই দিন গুটি জাতের আম পাড়া হবে। গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আম পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহবিষয়ক মতবিনিময়সভায় ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ ঘোষণা করেন ডিসি শামীম আহমেদ। পাকার আগে আম পাড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, লখনা ও রানীপছন্দ; ৩০ মে থেকে হিমসাগর ও খিরসাপাত, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। আর ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১৫ জুলাই গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি জাতের আম পাড়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, বাজারে পরিপক্ব ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে প্রতি বছরই তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এবারও কৃষক, কৃষি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতেই ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ের আগে কোনো কৃষক বা ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম পাড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আম না পাকলে পরিপক্ব হওয়া সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের পর পাড়তে হবে। হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক প্রশাসন তদারকি করবে।
এডিসি (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসা. উম্মে সালমা।
প্রসঙ্গত, এ বছর রাজশাহী জেলার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ২৪ হেক্টর বেশি। গত বছর আমের ব্যবসা হয়েছিল প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজার ১৬৫ টন। সে হিসাবে এবার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বিকিকিনির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আমের মুকুল কম হওয়ায় এবং প্রচণ্ড খরায় গুটি ঝরে যাওয়ায় সেটি অর্জন নাও হতে পারে।