২১ দিনের জামিন শেষে ফের কারাগারে যেতে হলো ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সুপ্রিম কোর্ট আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করায় গতকাল রবিবার তিহার জেলে ফিরে যান তিনি।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালত এক নির্দেশনায় বলেছে— কেজরিওয়াল ৫ জুন পর্যন্ত বিচারিক হেফাজতে তথা জেলে থাকবেন।
এর আগে গত ২১ মার্চ নির্বাচন সামনকে রেখে অর্থপাচারের অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই গ্রেপ্তার অবৈধ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে মামলা করেন কেজরিওয়াল। ৫০ দিন কারাভোগের পর নির্বাচনী প্রচারের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের মেয়াদ ছিল নির্বাচনের শেষদিন অর্থাৎ গত ১ জুন পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পরই শারীরিক কারণ দেখিয়ে কেজরিওয়াল তার জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, এসময়ের মধ্যে তিনি কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান। তবে তার ওই আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। ফলে ২১ দিন জামিনে বাইরে থাকার পর রবিবার বিকেলে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে জেলে যাওয়ার আগে তিনি রাজঘাট, হনুমান মন্দির ও পার্টি অফিস পরিদর্শন করেন। জেলে যাওয়ার আগে রবিবার বিকেলে কেজরিওয়াল বাসভবন থেকে বের হন। সেখান থেকে সোজা চলে যান রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তারপর হনুমান মন্দির ঘুরে যান দলের কার্যালয়ে। সেখানে তাকে দেখার জন্য ভিড় জমান দলের কর্মী-সমর্থকেরা।
এসময় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি ২১ দিনের এক মিনিটও নষ্ট করিনি। আমি সব দলের হয়ে প্রচার করেছি। দেশকে বাঁচানোর জন্য প্রচার করেছি। দেশ আগে, তারপর আমার দল।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এসময় আলোচিত বুথফেরত জরিপ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বুথফেরত জরিপে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তা ভুয়া।’
তার কথায়- ‘তারা ৪ জুন সরকার গঠন করছে না। এই বুথফেরত জরিপগুলো আপনাকে হতাশার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা মানসিক খেলা।’
উল্লেখ্য, ১ জুন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর যেসব বুথফেরত জরিপ প্রকাশ্যে এসেছে, তার বেশিরভাগই বলেছে, এনডিএ জোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৫০টিরও বেশি আসন পেতে যাচ্ছে।