মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেই টেস্ট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারকে রেখেই প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় সব চিত্র পাল্টে যায়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ শুরুর আগে সাকিবকে নিয়ে আলোচনা থামছেই না। সাকিবকে দেশের মাটিতে বিদায় দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হচ্ছে। নাজমুল হোসেন শান্তর সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ ছাপিয়ে সাকিব ইস্যুতেই বেশি কথা হলো।
দেশের মাটিতে সাকিবের বিদায় না নিতে পারাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন শান্ত। টাইগার কাপ্তান বলেন, ‘আসলে দুর্ভাগ্যজনক। হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সবাই জানি কেন হয়নি। এটা নিয়ে আসলে টেস্টের আগের দিন কথা বেশি বাড়াতে চাই না। আমি চাই প্রতিটা খেলোয়াড় খেলায় ফোকাস করুক।’
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়। সে সময় তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সতীর্থ ক্রিকেটাররা। নিজের বিদায়ী টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলার ইচ্ছার কথা জানালেও তা পূরণ হচ্ছে না। যদিও এবার কোনো ক্রিকেটারকে সেভাবে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে টাইগার অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘এরকম কোনো কিছুই না। আমি যেটা একটু আগে বললাম আগামীকালকে একটা টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। আমরা সবাই জানি যে হ্যাঁ, উনি যদি এখান থেকে শেষ করতে পারতো, খুবই ভালো হতো। ফোকাসটা পরবর্তীতে সেই জায়গায় আনা হয়েছে কীভাবে আমরা টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারি।’
আরও যোগ করেন, ‘এখন যত কথা বলব, এখান থেকে কোনো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ আমরা সবাই জানি কেন উনি আসতে পারছেন না। এখন বর্তমান সময়ে যে অবস্থা, ফেসবুকে একটা করে স্ট্যাটাস দিলে সবকিছু সমাধান হয়ে যায়, চিন্তা করছি প্রতিদিন একটা করে আমিও স্ট্যাটাস দেব।’
এর আগে গতকাল সাকিব প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল ফিল সিমন্সের কাছেও। যদিও পুরো বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেছেন, ‘এটা একটা ব্যাপার (বাইরের আলোচনা)। আগামী কয়েক দিন আমাদের কাজের বড় একটা অংশ হচ্ছে, সব মনোযোগ ক্রিকেটে যেন থাকে তা নিশ্চিত করা। আমি যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, সেটাই। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কীভাবে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেবো। আমি ছেলেদের নজরেও এটা রাখতে চাই।’