ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের উপ-পরিচালক(চলতি দায়িত্ব) (প্রশাসন)ডা. আশরাফুল আলমকে পরিচালকের রুমে এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ড্যাব) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা।
শনিবার(১৮ জানুয়ারি )দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামানের কক্ষে এক ঘন্টা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে ৪০ ও ৫০ জন ড্যাবের চিকিৎসক ও সাবেক ঢামেক ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপ-পরিচালক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ড্যাব ও সাবেক ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন তিনি মোটা অংকের টাকা খেয়ে হাসপাতালে আউটসোর্সিং এর নিয়োগ, ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে আমোদ ফুর্তির অভিযোগ, ঠিকাদারের কাছে টাকা নিয়ে তাদের কাজ পাইয়ে দেওয়া,আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক ছাত্রলীগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সহ-সভাপতি পরিচয় দেওয়া এবং বর্তমানে নিজের চেয়ার ঠিক রাখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি পরিচয় দিচ্ছেন এমন অভিযোগ করেন তারা। সাবেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, তিনি কখনোই ছাত্রদলের কোন পদে ছিলেন না বরং তিনি ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন বলে তারা দাবি করেন। তিনি ছিলেন গত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর।উপ-পরিচালক আশরাফের আওয়ামী লীগের দোষরদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ ছিল সেসব ছবি তাদের কাছে রয়েছে বলে জানান তারা।
তারা আরও বলেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ ই আগস্ট এর পর বিভিন্ন অভিযোগে দুইজন ওয়ার্ড মাস্টারকে ধরা হলেও এই উপ-পরিচালক আশরাফের অনুসারী হওয়ায় তাদেরকে পুনরায় আবার চাকরিতে বহাল করা হয়।ঢামেক হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সহকারী পরিচালক( অর্থ ও স্টোর) থেকে তিনি উপ-পরিচালক চলতি দায়িত্ব পদ বাগিয়ে নেন। তিনি ঢাকা মেডিকেলের অঘোষিত পরিচালক। কিন্তু এইভাবে আর চলতে দেওয়া যাবে না এই আওয়ামী লীগের দোসরকে এখান থেকে বদলি এবং শাস্তির দাবি করেন তারা।
কেন হাসপাতালে চলতির দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা আশরাফুল আলমকে দেব ও সাবেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল এমন বক্তব্যের জন্য তাকে মুঠোফোনে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং ফোন কেটে দেন। ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য না হয় সম্ভব হয়নি।
এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান,ঢামেক হাসপাতালের ড্যাবের সভাপতি ডা রেজওয়ানুর রহমান সোহেল, ক্লোরাইটাল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার আহসান হাবিব জাবের, ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা মোঃ আসাদুজ্জামানসহ ৪০ থেকে ৫০ জন চিকিৎসক ও সাবেক ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএন//