বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বাংলাওয়াশ। টানা তিন টি-২০তে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন সাকিব আল হাসানরা। গত নভেম্বরে মেলবোর্নে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর এটিই ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম টি-২০ সিরিজ। আর এ সিরিজেই টাইগারদের কাছে বিধ্বস্ত।
ঘরের মাঠে টানা সাত ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ইংলিশদের কাছে ৫০ ওভারের সিরিজ হারিয়ে টাইগাররা যেন আগ্রাসী হয়ে টি-২০ সিরিজ শুরু করে। তিন ম্যাচে পাত্তাই দেয়নি ইংল্যান্ডকে। তৃতীয় ও শেষ টি-২০তে বাংলাদেশ জয় পায় ১৬ রানে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিকরা। গতকাল হোয়াইটওয়াশ করে যেন ইতিহাসের পাতায় নতুন এক অধ্যায় যোগ করলেন টাইগাররা। যে দলের সাথে আগে জয়ই ছিল না, সেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ জয় ছিল অনেক বড় সাফল্য। হোয়াইটওয়াশ তো প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে যাওয়া। কোনোরকম ভনিতা না করে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সোজা কথা, ‘সিরিজ আমাদের হবে। সব ম্যাচ আমরাই জিতব, অতদূর ভাবিনি। আসলে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি।’
টাইগার দলপতি যোগ করেন, ‘তিন ম্যাচেই আমরা চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখতে, বোলিং-ফিল্ডিংটা ভালো করতে। তিনটা ম্যাচেই আমার মনে হয় অসাধারণ ফিল্ডিং হয়েছে। যেটা আমাদের (কাজে দিয়েছে), বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে ১০-১৫-২০ রানও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, ওই জায়গাতে অনেক বড় টিক মার্ক দিয়েছি আমরা।’
সাকিব বলেন, ‘এখানে যারা খেলছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি সিরিজে; প্রতিটি খেলোয়াড় বিপিএলে পারফর্ম করেছে। ওই পারফরম্যান্সটা অবশ্যই কাজে দিয়েছে। যেহেতু বিপিএলের পর খুব বেশি গ্যাপ যায়নি, তাই সেটা প্রভাব রেখেছে। এখানে যারা পাঁচ-ছয়জন ব্যাট করছে, তারা বিপিএলেও টপ রান স্কোরার। যারা সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া, তারাও এখানে বল করেছে। ওই আত্মবিশ্বাস আসলে থাকে। আর যেহেতু খুব বেশি গ্যাপ ছিল না। টানা খেলার ভেতরে থাকা আমাদের সাহায্য করেছে।’