চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ‘গলা কাটা’ গৃহকর আদায়ের প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। বুধবার ছিল নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি। এতে বাধা দেয় ছাত্রলীগ। আহত হন সুরক্ষা পরিষদের পাঁচ নেতা-কর্মী। এরই মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ এবং মেয়র অনুসারী হিসেবে পরিচিত ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ ও ছাত্রলীগ। ফলে গৃহকর নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। জানা যায়, করদাতা সুরক্ষা পরিষদ গত বুধবার নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে এর আগের দিন মঙ্গলবার বিকালে ‘সচেতন নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। কিন্তু বুধবার নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শুরুর আগেই চসিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেওয়া হয়। ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হলে পুলিশ করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতা-কর্মীদের টাইগার পাস মোড়ে বাধা দেয়। এরপর সেখানে যোগ দেয় মেয়র সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় হামলায় সুরক্ষা পরিষদের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ সংগঠনটির। এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে সুরক্ষা পরিষদ।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও আইনি কাঠামোর মধ্যেই গৃহকর আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া, ছয়টি রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেখানে আপিল করলে উল্লেখযোগ্য হারে কর কমানো হচ্ছে। ভবন মালিকরা আপিল করে খুশি হয়েই বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু একটি মহল এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাদের বলব, কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে সরাসরি আপিল বোর্ডের কাছেই নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে।করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, মেয়রের অনুসারীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে। তবে আমরা চাই, হামলা-মামলা নয়, নগরবাসীকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে গলাকাটা গৃহকর আদায় বন্ধ করতে। আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করব। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হবে। জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমরা আইনি লড়াইয়ে উচ্চ আদালতে যাব।