রংপুর নগরীর খামারপাড়ায় ছাদ পড়ে গিয়ে নুর আলম (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে লাশ সড়কে রেখে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে নগরীর লালবাগ রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ শুরু হয়। রাত পৌনে ৯টায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। অবরোধের কারণে রাস্তার দু’ধারে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। লালবাগ রেলক্রসিং চুড়িপট্টি এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ বিক্ষোভ করে নুর আলমের হত্যার বিচার চেয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শংঙ্কায় তাজহাট ও কোতয়ালী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে লালবাগ ও খামার মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানাগেছে, সোমবার বিকেলে রংপুর নগরীর লালবাগ খামার তাবলীগ মসজিদের পার্শ্বে স্থানীয় ফকির চানের বাড়িতে আগুন লাগলে সেই দৃশ্য দেখতে গিয়ে উৎসুক লালবাগ চুড়িপট্টি এলাকার লোকজন মাজেদুল ইসলামের বাড়ির ছাদে উঠে পড়ে। এ সময় মাজেদুলের সবাইকে ছাদ থেকে সবাইকে নামতে বললে তার সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই এক পর্যায়ে নুর আলম ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে চুড়িপট্টি ও খামারপাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ সোমবার নুর আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকের দিকে পুলিশ নুর আলমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ইফতারের পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে চুড়িপট্টি এলাকার শত শত নারী-পুরুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে লাশ লালবাগ রেলক্রসিংয়ের সামনে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা নুর আলম হত্যার সঠিক বিচারসহ মাজেদুল ইসলামের ফাঁসির দাবী জানান। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ ও কোতয়ালী থানা পুলিশ লালবাগ রেলক্রসিং এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। চুড়িপট্টি এলাকাবাসীর দাবী, নুর আলম হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এলাকাবাসী রাস্তা থেকে লাশ সরিয়ে নিয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।