এক পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরই মুক্তি পান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেফতার ও মুক্তির ঘটনায় একেবারে চুপ হোয়াইট হাউজ। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে পৌঁছার পর ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মুখ বন্ধ রাখতে সাবেক এক পর্ন তারকাকে ঘুষ দিয়েছিলেন।
এদিকে, মঙ্গলবারের হোয়াইট হাউজে প্রেস ব্রিফিং শুরু হয় ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদান নিয়ে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রথম প্রশ্ন আসে আদালতে ট্রাম্পের গ্রেফতার ও শুনানি সংক্রান্ত বিষয়ে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন পিয়েরে উত্তরে বলেন, এই মামলাটি চলমান, কোনো মন্তব্য করছি না। অন্যান্য দিনের মতো প্রেসিডেন্টের নজর আমেরিকার লোকজনের ওপর।
জিন পিয়েরে উল্লেখ করেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাম্পের বিচারকার্যের খবরের জন্য বরাদ্দ। তিনি হয়তো এর অংশবিশেষ দেখবেন। তবে এর ওপর তার জোর নজর নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সাবেক পর্ন অভিনেত্রী এবং স্ট্রিপার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ প্রদানের জন্য তার তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
স্টর্মির দাবি, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এটি ট্রাম্পের বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়াকে বিয়ে করার পরের বছরের ঘটনা।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এ নিয়ে মুখ না খুলতে তাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। তবে ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানের মনোনয়ন খুঁজছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এখনও সম্ভাব্য সব প্রার্থীর মধ্যে এগিয়ে আছেন।
মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেও তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে-এমনকি কারাগার থেকেও রাজনীতি করে যেতে কোনো বাধা নেই।