ঈদের আগে ৫ দিন ও পরে ১২ দিন ২৪ ঘন্টা ফিলিং স্টেশন খোলা: ওবায়দুল কাদের

0
73

ঈদের আগে ৫ দিন আর পরে ৭দিন ২৪ ঘন্টা ফিলিং স্টেশন খোলা থাকবে বল জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রবিবার(৯ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক/ মহাসড়ক যাত্রী সাধারনের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার নিমিত্ত করার এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

একই সাথে ঈদে ভোগান্তি কমাতে ঢাকার প্রবেশ পথ বিশেষ নজরদারি করতে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ’কে নির্দেশনা দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পকে ভোগান্তির অন্যতম স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা বললেও কিন্তু শেষ হয় না। যথেষ্ট মানুষকে ভোগান্তি দিচ্ছে। কত মানুষ বিদেশে যাবে অথচ মানুষ মিস করে বিমানের ফ্লাইট।

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।মন্ত্রী এ সময় দায়িত্বপালনকারীদের মানুষের প্রতি যে প্রমিজ (প্রতিজ্ঞা) করেছেন তা রক্ষা করার কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যার যার যে দায়িত্ব তিনি যেভাবে প্রমিজ করেছেন সেভাবে পালন করুন। এটা হলো আমার আপনাদের কাছে অনুরোধ। 

যতই আমরা অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করি সেটা খুবই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেটা সম্ভব হয়েছে। উন্নয়ন অনেক হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় ঘাটতি আমাদের শৃঙ্খলার।যেটা সড়ক ও পরিবহনেও কার্যকর হয়নি। আরও অনেক ছয় লেন বা আট লেন হবে পরিকল্পনা আছ তবে ডিসিপ্লিন কীভাবে কার্যকর করতে পারা যাবে সেটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ। ডিসিপ্লিন থাকলে যানজট ও দূর্ঘটনা কমে যাবে।

তিনি বলেন, এখন গতানুগতিক একটা মিটিং করে, বক্তৃতা দিয়ে যদি মনে হয় দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে তাহলে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, এখানে সবাই পরিকল্পনার কথা বললেন কিন্তু গার্মেন্টস মালিকরা কি সেটা শুনবেন সেই গ্যারান্টি কোথায়। প্রতিবার এই নিয়ম চালু হয়। নির্দেশনা দেওয়া হয় কিন্তু পালন করেন কয়জন। খুব সহজে এটা বাস্তবায়ন করা যাবে না এটাই বাস্তবতা।

মন্ত্রী নিজে নবীনগর ও চন্দ্রার যানজটের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, সেখানে রাত পার হয়ে ভোর হয়। এরপর আনফিট গাড়ি থাকে, চালক অতিরিক্ত গাড়ি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এভাবেই সময় নষ্ট হয়। 

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি মিনিটে ১৬ জন রাস্তায় মারা যায়। সৌদি আরবে দূর্ঘটনায় ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। আমাদের লোক মারা গেল কেউ তো সেটা নিয়ে কিছু বলে না। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া। শুধু এখনকার ব্যাপার সবার চোখে পড়ে। যেভাবে দোষ দেওয়া হয় তাতে মনে হয় এদেশে সড়কে কিছুই হয়নি। এমনকি বজ্রপাতে প্রাণহানি হলেও সরকারকে দোষ দেওয়া হয়।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান এমপি, সড়ক ও সেতু সচিব এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন,  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

এসএএ/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here