জয়া আহসানের জন্য আজকের দিনটি কেনো এত বিশেষ?

0
85

বাংলাদেশে ও পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।  এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি হচ্ছে ‘গেরিলা’। নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত এ সিনেমা ২০১১ সালের পয়লা বৈশাখ মুক্তি পায়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমা দর্শক মনে নাড়া দিয়েছিল। ছবিটিতে অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন জয়া। ‘গেরিলা’ মুক্তির এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে স্মৃতিকাতর হয়েছেন জয়া।

শুরুতে জয়া আহসান বলেন, ‘কিছু ছবি থাকে, অভিনয় জীবন জুড়ে যার বিস্তর প্রভাব, যা ভালোলাগার, মাঝে মাঝেই স্মৃতিতে উজ্জ্বল। কিন্তু কিছু ছবি অচিরেই জীবন হয়ে যায়। কিছু চরিত্রের হয়ে একটা অন্য জীবন বেছে নেওয়া যায়। এক যুগ আগে, এই দিনে মুক্তি পাওয়া, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা ছবিটি তেমনি একটি ছবি। আর বিলকিস আমার কাছে তেমন একটি রক্ত মাংসের চরিত্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ আমার দেশে স্বাধীনতার আলো হয়ে প্রতিটি বাঙালির মনে জ্বলছে। সেই মুক্তিযুদ্ধের এমন বাঙ্ময় পরিবেশনা, সত্যি আজও শিহরিত হই।’

এ সিনেমার অনেক স্মৃতি জয়ার হৃদয়ে আজও অমলিন। তা উল্লেখ করে জয়া বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রের অংশ হতে পারা আজ ১২ বছর পরেও আমার জন্য বড় আপন এক অনুভূতি। ১২ বছরে সময় অনেক বদলেছে, ১২ বছরে প্রযুক্তির ঘোড়া দৌড়ে এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ। কিন্তু অনুভূতির বিন্দু বিন্দু জুড়ে গেরিলা ছবির স্মৃতিগুলো আজও জীবন সমার্থক, এই অনুভুতির কোনো পরিবর্তন নেই।’

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘আমার অভিনয় করা বিলকিস বানু চরিত্রে উঠে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মেয়ের সাহসী অবদানের গল্প। উপন্যাসে এ চরিত্র তৈরি করেছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আর পর্দায়- পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ। গেরিলা ছিল এই দুই মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর উপলক্ষ। একই সঙ্গে ছিল আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছে সামান্য ঋণ স্বীকারের সুযোগ।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here