এম জালাল উদ্দীন পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধিঃ খুলনার পাইকগাছায় প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে কঠিনতম ভোগান্তি,ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং ও পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদারদার’সহ সর্ব সাধারণের জীবন বিপন্ন প্রায়। এদিকে চৈত্রের শেষে প্রচন্ডভাবে বেড়ে গেছে তাপমাত্রা।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে গত কয়েকদিন ধরে পাইকগাছায় ৩৯°থেকে ৪১° সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠা নামা করছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে প্রতিদিন শুরু হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিশেষ করে সাহেরি ইফতার ও মাগরিব তারাবী’নামাজ’সহ বিভিন্ন সময়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া আশা করছে। ফলে একদিকে রোজা থেকে নামাজীদের ভোগান্তি অন্যদিকে বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা’সহ মা বোনদের জীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ।তাছাড়া বাস্তবতার নিরীক্ষে বলতে প্রকৃতিতে নেই তেমন কোন বাতাস চতুর্দিকে খা খা রোদ আর রোদ- সব কিছু কেমন যেনো স্থবির,চারিদিকে শুধু হা-হা অবস্থা বিরাজ করছে। দক্ষিণ অঞ্চলের সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে এলাকা পাইকগাছা, কয়রার অধিকাংশ মানুষ রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। অথচ বর্তমানে চলমান এ আবহাওয়ার কারণে পানি উত্তাপ্ত হওয়ায় বাগদা চিংড়িতে মড়ক ও ভাইরাজ লাগছেতে বলে নিশ্চিত করেন বিশিষ্ট চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী আমানউল্লাহ্ ফিস ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আঃ জলিল ঢালী।অন্যদিকে মরে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত।স্থানীয় কিছু কিছু চাষী’দের অভিমত, সেচের পানিতেও কাজ হচ্ছেনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান,যেভাবে তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে তাতে বৃষ্টিপাত না হলে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে গেছে।পাইকগাছা পৌরসভা ইমাম পরিষদের সেক্রেটারি ও বাতিখালী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের খতীব মাওঃ আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যুত বিভাগের লোকেরা এমন সময় লোডশেডিং দেয় যে সময় মুসলমানেরা নামাজরত অবস্থায় থাকে।এটা বন্ধ হওয়া দরকার।