বগুড়া শহরের কলোনি এলাকায় পরিবারের সদস্যদের উপর অভিমান করে ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ভূঁইয়া (২০) আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকাল ৮টায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত নাঈম ভূঁইয়া জেলার ধনুট উপজেলার উজালসিং এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। সে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিহত নাঈমের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন সাজু জানান, তারা দুই ভাই ও তাদের নানী শহরের কলোনি এলাকায় একটি টিনশেড ভাড়া বাসায় থাকতেন। নাঈম শহরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিকে ১ম বর্ষে পড়াশোনা করত। গত কয়েকদিন ধরে টাকা চাচ্ছিল পরিবারের কাছে কিন্তু টাকা দিতে না পারায় সে অভিমান করে। এরপর বুধবার সকালে নাঈম ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে। রুমে শুয়ে থাকা দেখি বড় ভাই বাইরে যায় আর নানী রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগে সে ফ্যানের হুকের সাথে গামছা গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় বাসায় ফিরে ঘরে প্রবেশ করতেই তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার কর শজিমেকে নিয়ে যাওয়া হয়।বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় জানান, নাঈম ধুনট উপজেলার মধুরাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে জেলা ছাত্রলীগ শোকাহত।
বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নিহত নাঈমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়