নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইলের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহের দায়ে মো. নূর করিম (৩০) নামে এক দপ্তরির দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার চর মটুয়া ইউনিয়নের পানামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. নূর করিম শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী মো. নূর করিমকে টয়লেটে প্রশ্নোত্তর লিখতে দেখে কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বিষয়টি মুঠোফোনে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দকে জানান। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নূর করিমের মুঠোফোনে প্রশ্ন এবং সংশ্লিষ্ট উত্তর খুঁজে পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ। তার মুঠোফোনে বুধবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্ন এবং সমাধানসহ পূর্বের সকল পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক এবং সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্ন এবং কাগজে লেখা উত্তর পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত অফিস সহকারী পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নের ছবি তোলেন বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। পরবর্তীতে নূর করিমকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। প্রশ্ন সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া গেছে তার মোবাইলে। সে অন্যান্য পরীক্ষায়ও এই ধরনের অনিয়ম করেছে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম আহমেদও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।