ভারতে ২ হাজার রুপির নোট বাতিল করা হচ্ছে। আর এ ঘোষণায় অনেকেই স্বর্ণ কিনতে ভিড় করছেন। তবে এজন্য অতিরিক্ত দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যদিও সরকার ঘোষণা করেছে ব্যাংক থেকে নোট বদলে নেওয়া যাবে, কিন্তু কিছু ব্যক্তি সে ঝামেলায় যেতে চাচ্ছেন না। বিশেষ করে, যারা হাতে থাকা পুরো অর্থের কথা ঘোষণা করেন না, অর্থাৎ মজুতদারেরা।
গত শুক্রবার দুই হাজার রুপির নোট বাতিলের ঘোষণায় দেয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। এর আগে ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার কাগজি নোট প্রত্যাহার করার পর ২ হাজার টাকার নোট চালু করা হয়েছিল।ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২ হাজার রুপির নোট সবার কাছে নেই। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা বৈধ টাকার মালিক তারা ঠিকই ব্যাংকে গিয়ে নোট বদলে নিবে, তবে যারা তাদের সম্পদের সঠিক হিসাব দেন না বা কালো টাকার মজুত করেন তারাই স্বর্ণের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ে স্বর্ণে অনানুষ্ঠানিক বাজারে ২ হাজার রুপির নোট ব্যবহার করে ১০ গ্রাম স্বর্ণ কিনতে ব্যয় হচ্ছে ৬৭ হাজার রুপি, যদিও জিএসটিসহ স্বর্ণের আনুষ্ঠানিক দর ৬৩ হাজার ৮০০ রুপি। বাড়তি অর্থ ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিছু মানুষ যেন নোট বদলের ঘোষণার পর আপনা-আপনি স্বর্ণের দোকানে ভিড় করতে শুরু করেছেন। ঘোষণা আসার পরই স্বর্ণের প্রিমিয়াম বেড়ে গেছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা কমে যাবে বলে সূত্রগুলোর ধারণা। নোট বদলের সময় আছে চার মাস, ফলে মানুষ নানা কিছু চেষ্টা করবে।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে আরও বলা হয়, ২০০০ রুপির নোট ব্যাংকে জমা দিয়ে করের আওতায় পড়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। মূলত তারাই স্বর্ণ কেনায় ঝুঁকছেন। তবে এখানে সুযোগ হলো, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া, এসব প্রতিষ্ঠান অনুদান দিয়ে অনেক ছোট অঙ্কের নোট নিচ্ছেন।
সূত্র : ইকোনমিক টাইমস