পিটিআই শীর্ষ নেতাদের হঠাৎ দলত্যাগে কঠিন পরীক্ষায় ইমরান

0
74

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা হঠাৎ করে দলত্যাগ শুরু করেছেন। এতে কঠিন পরীক্ষায় পড়েছেন ইমরান খান। এরই মধ্যে ইমরানের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতাও সরে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা আর রাজনীতি করবেন না। সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে নেতারা তাঁর পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ইমরান। বুধবার লাহোরের নিজ বাসভবন থেকে দেওয়া ভিডিও ভাষণে এমন অভিযোগ করেন ইমরান।

ইমরান বলেন, এমন দমন-পীড়নের ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে আমি আর দেখিনি। যদি বলেন, আপনারা পিটিআইয়ের সদস্য, তাহলে আপনাদের দমন-পীড়ন এবং সহিংসতার কবলে পড়তে হবে। বন্দি করা হবে। আর যদি জাদুকরি শব্দগুলো বলেন যে আমরা আর পিটিআইয়ের সঙ্গে নেই, তাহলে ছাড়া পাবেন। দলের পদস্থ নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থকদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে পিটিআইয়ের মুখপাত্র এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী দল ছেড়েছেন। আর দলের মহাসচিব এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর বলেছেন, তিনি দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন; কিন্তু পিটিআইয়ের সঙ্গেই থাকবেন। তাঁর ভাষায়, ৯ মের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব চালিয়ে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

মঙ্গলবার পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারি দলের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ উমরের ঘোষণাগুলো আসে। এ তিন নেতার প্রত্যেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সড়কে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। নিরাপত্তা হেফাজত থেকে বের হয়ে তাঁরা এসব ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার নতুন এক সতর্কতা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্বাচন বিলম্বিত করলে অপশক্তির উত্থান ঘটবে দেশে। তারা দেশজুড়ে অরাজকতা শুরু করবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন ১৪ মে করার রায় দিয়েছিল।

অন্যদিকে, পাকিস্তানজুড়ে পালিত হচ্ছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো দিবস। গত ৯ মে  সহিংসতায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ওই সহিংসতা ছিল আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। এ ছাড়া ইমরান সমর্থক সাংবাদিক ইমরান রিয়াজ খান ১১ মে গ্রেপ্তার করার পর কোথায় আছেন, কেউই বলতে পারছেন না। সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এমআই) জানিয়েছে, সাংবাদিক ইমরান তাদের কাছে নেই। বৃহস্পতিবার লাহোর পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (তদন্ত) কামরান আদিল হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, আইএসআই বা এমআই কারও কাছে নেই তিনি। তবে এই দুই বাহিনীর দিকেই সন্দেহের তীর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here