প্রেমের শাস্তি, যুগলকে গুলি করে হত্যার পর কুমির ভর্তি নদীতে ফেলার অভিযোগ

0
93

প্রেম মানে না কোনো বাধা। ইতিহাস বলে, যখন প্রেমের মাঝে বাধা আসে, তখন তা আরও বেশি প্রবল হয়ে ওঠে। এমন অনেক নজির রয়েছে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে সেই বাধা বিপত্তি বয়ে আনে। আবার কখনো কখনো জীবনও বিপন্ন হয়। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারতের মধ্যপ্রদেশ। সেখানে পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও প্রেম করায় এক যুগল গুলি করে হত্যার পর কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, প্রেমের কথা বাড়িতে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল অশান্তি। কিছুতেই পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত সম্পর্কের মারাত্মক পরিণতি ঘটে। যুগলকে খুন করে কুমির ভর্তি নদীর পানিতে তাদের মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশের জেরার মুখে সে কথা স্বীকারও করেছে তরুণীর আত্মীয়-স্বজন।ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার। সেখানকার রত্নবাসাই গ্রামের বাসিন্দা শিবানী তোমর (১৮) এবং বালুপুরা গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যাম তোমর (২১)। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ জুন থেকে নিখোঁজ ওই যুগল। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা দু’জনকেই খুন করেছেন। কারণ তারা প্রথম থেকেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন।

গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, পুলিশ প্রথমে যুবকের পরিবারের অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। যুগল পালিয়ে গিয়েছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিল তারা। দু’সপ্তাহ পর পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্তরাই স্বীকার করে নেন খুনের কথা। পুলিশকে তরুণীর বাবা রাজপাল সিং তোমর জানান, তারা যুগলকে গুলি করে খুন করেছেন। তারপর চম্বল নদীতে ফেলে দিয়েছেন তাদের মরদেহ।

স্বীকারোক্তির পরই নদীতে মরদেহের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ডুবুরি নামিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ডেকে মরদেহের খোঁজ চলছে। কিন্তু ওই নদীতে কুমিরের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই মরদেহ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তরুণীর পরিবারের দাবি, যুগলের জাত ছিল ভিন্ন। তাই এই সম্পর্ক তারা মেনে নেয়নি। যুগলের খুনের সঙ্গে জড়িত পরিবারের অন্তত ১৫ জন। তাদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে মরদেহের সন্ধানে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ।

এদিকে, তদন্ত শুরুতে ঢিলেমির যে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here