বরিশালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার শেষ বিকেলে নগরীর কাশীপুর সুরভী ফিলিং স্টেশন এলাকায় এই সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, আজ দুপুরে বিসিসি’র নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা সমর্থকসহ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাসযোগে বরিশাল ফিরছিলেন। বহরের একটি বাসে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ইমরান মোল্লার কর্মী সুবে জাকারিয়ার সাথে যুবলীগ নেতা অসীম দেওয়ানের কর্মী মেহেদী ও সোহেলের বাদানুবাদ হয়। শেষ বিকেলে বহরের ওই বাসটি নগরীর কাশীপুর সুরভী ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে জাকারিয়া ও তার কর্মীদের সাথে অসীম দেওয়ানের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় অর্ধঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে সোহেল ফকির (২৮), ফাইজুল ইসলাম (২৬), মো. আশিক (২৮), মো. জাকারিয়া (২৯), সাজ্জাদ হোসেন (২৬) ও ফরহাদ উদ্দিন (২৪) নামে ৬ জনকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে হামলা ও সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। বিনা উস্কানীতে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ করেন দুই পক্ষের কর্মীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নগরীর বিমান বন্দর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে বাসে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের সূত্র ধরে বাসটি কাশীপুর পৌঁছার পর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।