এবার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে দিনাজপুরের আম

0
70

উৎপাদিত লিচুর পাশাপাশি দিনাজপুরের আমও স্বাদে ও গন্ধে সুখ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের সুপার শপে স্থান পেতে শুরু করেছে আম ও লিচু। 

পরীক্ষামূলক লিচুর পরে এবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলা থেকে প্রায় ১০ টন আম রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেট কোম্পানি লি. এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের সুপার শপে স্থান পাবার জন্য বিমানে উঠেছে ৫০০ কেজি আম। এর মধ্যে ৩০০ কেজি বারি-৪ ও ২০০ কেজি ব্যানানা ম্যাংগো আম। আঁশমুক্ত আমগুলো দেখতে সুন্দর, ওজনে প্রতিটি ৬শ’ থেকে ৭শ’ গ্রাম। এসব আম সংগ্রহ করা হয়েছে বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক মোমিনুল ইসলামের আম বাগান থেকে। বাগান মালিক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, গর্বিত মনে করছি। আমার বাগানের আম বিদেশে যাচ্ছে। এ আম বিষমুক্ত ও নিরাপদ। আশা করি এ আম বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করবে। 

তিনি জানান, বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তাফা হাসান ইমামের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আম বাগান করি। যাদের পরামর্শে এই বাগান করেছি আজ তারাই ভালো দামে আমার আম কিনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। 

বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, ব্যাগিং রোগিংসহ প্রত্যাকটি কাজের মাধ্যমে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে আমগুলো উৎপাদন করা হয়েছে। যাতে আমগুলো বহির্বিশ্বের বাজারগুলোতে যেন জায়গা করে নিতে পারে। দেশে যে পরিমাণে আম উৎপাদন হয় সেই পরিমাণে রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। লিচুর মতো রপ্তানিযোগ্য এসব আম স্বাদে-গন্ধে সুখ্যাতি ছড়িয়ে যেন বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নিতে পারে। আশা রাখি এই আম রপ্তানির করে বৈদেশি মুদ্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশ ও কৃষকরা লাভবান হবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, জেলায় লিচু ও আম পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন হয়। এ জেলার আম ও লিচু স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে চাহিদা মিটানো হয়। প্রথমবারের মতো এ জেলা থেকে ইউরোপের বাজারে লিচু পাঠানোর পর এবার আমও বিদেশে পাঠানোর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার রপ্তানিকারকদের আগ্রহের কারণে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫০০ কেজি বারি-৪ ও ব্যানানা ম্যাংগো আম ইংল্যান্ডে পাঠানো হল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত রপ্তানিযোগ্য এসব আম উৎপাদন প্রকল্পের রপ্তানির উদ্দ্যশ্যে ২৩টি আম বাগানের মধ্য থেকে ৬টি বাগানের প্রায় ৮ শতাধিক গাছ থেকে মৌসুমের মধ্যবর্তী সময়ে বারি-৪ জাতের প্রায় ১৬ মেট্রিক টন আম ব্যাগিং করে রপ্তানির লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ৪টি বাগান থেকে বারোমাসি ও লেট ভেরাইটির ব্যানানা ম্যাংগো ও কাটিমন ৪ মেট্রিক টন আমও প্রস্তুত রাখা আছে। রপ্তানির জন্য প্রস্তুত এই আমগুলো রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা মোতাবেক ধাপে ধাপে পাঠানো হবে। আশা করি এই আম রপ্তানির মধ্যদিয়ে দিনাজপুর জেলা আমের জন্য বিশেষ পরিচিতির পাশাপাশি ভালো বাজার মূল্য ও আগামী দিনে রপ্তানি যোগ্য ভাল ক্ষেত্র তৈরী হবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here