শাহবাগে পরীক্ষার্থী-পুলিশ উত্তেজনা, কয়েকজন আটক

0
71

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নীরব প্রতিবাদের সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনের সৃষ্টি হয়। ধাওয়া দেওয়ার সময় পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে শাহবাগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিল শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচি কিছু সময় গড়ানোর পর সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের জানায়, রাস্তা বন্ধ করে কোনো কর্মসূচি করা যাবে না। পরে পুলিশ শহীদ মিনারে গিয়ে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেয়।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাস্তা বন্ধ করে কোনো অবরোধ করছেন না। তারা সবকিছু ঠিক রেখেই নীরব কর্মসূচি পালন করছেন। কথা বলার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে পুলিশ। সেই সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল সোমবার (৭ আগস্ট) এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে শাহবাগে কর্মসূচি ছিল। সেখান থেকে পুলিশ এসে আমাদের সায়েন্স ল্যাবে নিয়েছে। পরে আমাদের শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যায়নি। তখন আমরা আবার শাহবাগে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ফোর্স নিয়ে এসে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। সেই সঙ্গে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়।

এদিকে শিক্ষার্থী আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন বলেন, ‘এরা শিক্ষার্থী কি না, এ বিষয় যথেষ্ট সন্দেহ আছে। গতকাল কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলে উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছিল। তাদের আগামী ১৭ তারিখ পরীক্ষা অথচ মাত্র কয়েক দিন আগে তারা পরীক্ষা পেছানো, ৫০ নম্বরের পরীক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। এটা অযৌক্তিক।’

আশরাফ হোসেন আরও বলেন, আজকেও তারা রাস্তায় নেমেছে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। কয়েকজনকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয় এখনই বিস্তারিত বলা যাবে না।

এর আগে গতকাল সোমবার এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শাহবাগ অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয় পুলিশ। এসময় সেখান থেকে ছয়জন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অনেক কম সময় পাচ্ছি। এই সময়ে পুরো সিলেবাসের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সিলেবাস কমিয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হোক অথবা পরীক্ষা এক মাস বা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। ১০০ নম্বরের পরীক্ষা আমরা মানি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাব।

তারা জানান, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী‍রা প্রায় আড়াই বছর সময় পেয়েছে। আড়াই বছর সময় নিয়ে তাদের পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরের। কিন্তু ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী‍রা মাত্র দেড় বছর সময় পেয়েছে। তুলনামূলক এক বছর কম সময় পাওয়ার পরও তাদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। গত বছর আইসিটি সাবজেক্টের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আইসিটি সাবজেক্টও পরীক্ষা দিতে হবে। এবারের পরীক্ষায় আইসিটি বিষয়টি বাদ দেওয়ার দাবিও করেন তারা।

এবারের পরীক্ষা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী‍রা। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছেন তারা। তবে পরীক্ষার্থী‍দের অভিযোগ, তাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here