এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যা মানতে হবে

0
75

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দলেরই যেসব নেতা বদনাম ছড়াবেন, তাদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এ বার্তা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নেতাকর্মীদের কাজ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও অপকর্ম তুলে ধরা। কিন্তু তা না করে অনেকে দলের জনপ্রতিনিধিদের নামে বদনাম ছড়াচ্ছেন, তাদের জন্য বার্তা হচ্ছে যারা এটা করবেন, তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) বলে, তারা আন্তর্জাতিক শক্তি পায়। কোন শক্তিটা আছে, সেটাই আমরা জানতে চাই। কোনো শক্তি নেই তাদের সঙ্গে। লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকে না।’

বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এই খুনি, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মানুষ হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি বিএনপি থেকে দেশবাসী সাবধান!’

তিনি বলেন, ‘আর জামায়াত বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী তারা যে অপরাধ করেছে, তাদের আমরা শাস্তি দিয়েছি। তাদের থেকেও দেশবাসী যেন সাবধান থাকে। দেশবাসীকে বলব, গণতন্ত্র ওদের মুখের কথা, ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসও করে না; ওরা দেশে গণতন্ত্র রাখবেও না। ওরা দেশকে আবার ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।’

বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের মানুষকে সজাগ করতে হবে। ওরা সর্বনাশ ছাড়া দেশকে কিছু দিতে পারে না।’

২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের উত্তরণ নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাদের জন্ম, তারা আবার কী গণতন্ত্র দেবে!’

আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষের জন্য কাজ করে জনগণের মন জয় করে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতা এসেছে।’

বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা সরকার উৎখাত করতে চায়। তার মানে আবার অন্ধকার যুগে ফিরতে চায়।’

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবির কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে তত্ত্বাবধায়কের জন্য তারা আন্দোলন করে। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া রাজি ছিল না। খালেদা জিয়া বলেছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হয় না। আমার প্রশ্ন তারা কি এখন (তত্ত্বাবধায়কের জন্য) পাগল ও শিশু খুঁজে পেয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কার্যনিবাহী সংসদের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ৬ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়েছিল। ওই সভায় দলীয় সভাপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ‘ভারমুক্ত’ করা হয়েছে। আর গতকাল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিভিন্ন কমিটির ভারপ্রাপ্তদের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here