পাকিস্তানের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংসদ জাতীয় পরিষদের সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ। যদিও সাংবিধানিকভাবে ৯০ দিনের ভেতর নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খবর দ্য ডনের।
গতকাল শনিবার (১২ আগস্ট) দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকারের নাম ঘোষণা করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে এ তথ্য দেন রাজা রিয়াজ।
এর আগে গত বুধবার (৯ আগস্ট) মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শের পর বুধবার (৯ আগস্ট) মধ্যরাতে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তিনি।
শাহবাজের বর্তমান পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) জোট সরকারের মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই সংসদ ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের কাছে সারসংক্ষেপ পাঠান শাহবাজ।
২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তৎকালীন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতৃত্বে জোট সরকার যাত্রা করেছিল। তবে গত বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান বিদায় নিলে শাহবাজের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ক্ষমতা গ্রহণ করে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিন পর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন আয়োজনের তারিখ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
তবে নির্বাচন কমিশন নতুন জনশুমারি অনুযায়ী সংসদীয় এলাকা পুনর্বিন্যাস করার ফলে নির্বাচন আরও কয়েক মাস পেছাতে পারে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, নির্বাচন পেছালে চরম অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে জনরোষ বাড়তে পারে। ফলে দেশের রাজনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।
এরই মধ্যে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজা ও পরবর্তীতে ইমরান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে রাজনীতিতে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। যদিও গত বছর অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ইমরান খান। এই দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ইমরান খানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।