৫০ শতাংশ কমিশন বিতর্কে এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা

0
72

এবার মামলার মুখে পড়লেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে টুইট করা হয় তার অ্যাকাউন্ট থেকে। একটা ‘ভুয়া চিঠি’র বরাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

খবর অনুসারে, জ্ঞানেন্দ্র আবেস্তি নামে এক ব্যক্তির লেখা একটি চিঠিতে দাবি করা হয়, মধ্যপ্রদেশে যে কোনো সরকারি কাজের বিল পেতে হলে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ঠিকাদারদের ৫০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। সেই চিঠিটি ছবিই টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা। বিজেপির বক্তব্য, ‘চিঠিটি ভুয়া ও বানোয়াট।’  অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ঘটনার পর রাতেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪২০ ধারা (প্রতারণা) ও ৪৬৯ (সম্মানহানির উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর  টুইটটি রি-টুইট করায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুন যাদবের বিরুদ্ধেও মামলার আবেদন করা হয়েছে। চিঠিটি টুইট করার সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন, ‘কর্নাটকের দুর্নীতিবাজ বিজেপি সরকার ৪০ শতাংশ কমিশন সংগ্রহ করতো। মধ্যপ্রদেশে নিজেদের দুর্নীতির রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে গেছে বিজেপি। কর্নাটকের জনগণ ৪০ শতাংশ কমিশন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, এখন মধ্যপ্রদেশের জনগণ ৫০ শতাংশ কমিশন সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করবে।’

পুলিশের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় কমলনাথ বলেন, ‘হাজার হাজার দুর্নীতির মামলা রয়েছে। কতজনের  বিরুদ্ধে মামলা করবে বিজেপি? যখন গোটা রাজ্যে দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে, তখন তাদের কাছে কী সমাধান রইল? চিঠিটি ভুয়া নাকি সত্য, এখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের জিজ্ঞাসা করুন। এসব লোক আপনাকে একটি নয় বরং ১০০-২০০টি চিঠি দেবে।

প্রতিক্রিয়ায় অরুন যাদব বলেন, ‘যখন কংগ্রেস দলের নেতারা ব্রিটিশদের ফাঁসিতে ভয় পায় না, তখন তারা তাদের একমাত্র এফআইআরকেও ভয় পায় না। আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘ভয় পেও না’। আগে আমরা ইংরেজদের সঙ্গে লড়াই করতাম, এখন আমরা ৫০ শতাংশ কমিশন হোল্ডারদের সঙ্গে লড়াই করব।’

তবে দুর্নীতির এমন অভিযোগের জবাবে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, তিনি গোয়েন্দা বিভাগকে অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। যার নামে চিঠি তার অস্তিত্ব নেই বলে দেখা গেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা সংস্থার ঠিকানা ভুয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here