কোনো দেশের বিমানবন্দর ব্যবহার করে আশপাশের দেশ সুবিধা নিতে পারলে সেটিকে হাব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান মাঝখানে হওয়ায়, এখানে হাব তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার ঘিরে এভিয়েশন হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে এভিয়েশন হাব করতে হলে ‘অ্যারো সিটি’ করে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
এভিয়েশন হাব তৈরি করে অর্থনীতির চাকা সচল করেছে হংকং, সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাইয়ের মতো দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান সংস্থাকে সেবা দেয়ার পাশাপাশি যাত্রীদেরও দিচ্ছে ট্রানজিট সুবিধা। সেই সঙ্গে কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
বেবিচক এর চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান জানান, ভৌগোলিক সুবিধা থাকায় বাংলাদেশেও এভিয়েশন হাব তৈরি সম্ভাবনা আছে। ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর যাত্রীরা ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে খুব কম সময়ে যেতে পারবেন মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলছেন, শুধু টার্মিনাল ভবন কিংবা রানওয়ে তৈরি করেই দেশে এভিয়েশন হাব করা যাবে না। বিশ্বমানের সব সুবিধা তৈরি করতে হবে।
দেশে এভিয়েশন হাব করার লক্ষ্যে ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণ করা হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল। আর কক্সবাজারেও হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন রানওয়ে। এছাড়া দেশি বিমান সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানোসহ আকাশ পথের সব সুবিধাই সহজ করতে হবে; বলছেন বিশেষজ্ঞরা।