বোয়ালমারীতে হা-ডু-ডু খেলায় চ্যাম্পিয়ন দলকে ফ্রিজ না দিয়ে দিলেন নিন্মমানের এলইডি টিভি
শুক্রবার ১০ নভেম্বর উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ঠাকুরপুর বাজারের পাশে খেলার মাঠে ১৬ দলীয় হাডুডু খেলার আয়োজন করেন ময়না ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম। তিনি অবিভক্ত বাংলার জাতীয় পরিষদের সদস্য ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত স্মরণে
ঠাকুরপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ১৬ দলীয় হা-ডু-ডুর ফাইনাল খেলায়, চ্যাম্পিয়ন দলকে ফ্রিজ পুরস্কার দেয়ার কথা থাকলেও আয়োজক কমিটি নিন্ম মানের এলইডি টিভি তুলে দেন তাদের হাতে। হাডুডু খেলার ফাইনালে আঁধারকোঠা একাদশ ২ -০ গোলে অমৃতনগর একাদশকে পরাজিত করেন। পুরস্কার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে এলইডি টিভি তুলে দিলে তখনই বাঁধে বিপত্তি। চ্যাম্পিয়ন দলের সমর্থন ও টিম ম্যানেজার এলইডি টিভি না নিয়ে রাগান্বিত হয়েটিভিটি মঞ্চে রেখে আসেন।
এ নিন্ম মানের পুরস্কারে নিতে রানার্স আপ দল আমৃতনগর একাদশ ও অনিহা প্রকাশ করেন।
আঁধারকোঠা দলের টিম ম্যানেজার মজিবর রহমানের দাবী চ্যাম্পিয়ন দলকে পুরস্কার দেয়ার কথা ফ্রিজ। তবে কমিটির লোকজন খেলা শেষে নিন্মমানের এলইডি টিভি দিবে এটা অপমান ছাড়া কিছু না। আমরা আয়োজক কমিটিদের নিন্দা জ্ঞাপন করি।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ বলেন, চ্যাম্পিয়নদের দেয়ার কথা ফ্রিজ। তবে তাদের দিয়েছে ৫ হাজার টাকা দামের নিন্ম মানের এলইডি টিভি। এটা অমানবিক কাজ করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রতি দলের প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। আর সামন্য একটা টিভি দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়ারদের।
ময়না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হা-ডু-ডু ফাইনাল খেলার সভাপতি নাসির মো. সেলিম মুঠো ফোনে বলেন, ময়না ও ঠাকুরপুর গ্রামের যুবকরা আয়োজনে এ হাডুডু খেলায় আমাকে সভাপতি করেছে তাঁরা। আর কি উপহার দেবে খেলোয়ারদের তা আমি জানি না। তবে আমি চ্যাম্পিয়ন দলের লোকজনের সাথে কথা বলে তাদের সন্তুষ্টি জনক কিছু করা হবে।
ময়না ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম এর সভাপতিত্বে হাডুডু খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রতন কুমার সাহা, স্বপন কুমার সাহা, প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান, ফরিদপুরের সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ, জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদুজ্জামান, চৌধুরী রায়হান রকি, মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম রাজু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান বিশ্বাস, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুজিবুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পরশ শিকদার, সমাজসেবক আশরাফুজ্জামান মিলনসহ আরো অনেকে।